প্রাথমিকভাবে ঘূর্নিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত-এর পরিমান সাড়ে এগারোশ কোটি টাকা
আম্পানের কারনে সারা দেশে পৌনে দুই লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে
আম লিচু পান পেঁপে সয়াবিন মুগডাল সহ বিভিন্ন মৌসুমী ফসলে ক্ষতির পরিমাণ অবর্ণনীয়। সাতক্ষীরার আম চাষিদের ষাট থেকে সত্তুর ভাগ আম নষ্ট হয়ে গেছে।
দেশের উত্তর দক্ষিণ পশ্চিমের পঁচিশ জেলার এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ মানুষ বিদ্যুৎহীন। বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক জেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ।
খুলনা, বরিশাল, ঢাকা রাজশাহি, ময়মনসিংহের প্রায় পঞ্চাশ থেকে ষাট ভাগ মোবাইল সাইট আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
এক মাগুরা জেলাতেই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় শত কোটি টাকা।
তেরো জেলার মোট চৌরাশি পয়েন্টের সাড়ে সাত কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে গেছে
জেলেদের মাছ চিংড়ির ঘের ভেসে তলিয়ে গেছে, অগণিত ঘর বাড়ি ভেঙে গেছে, নিঃস্ব বহু মানুষ
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত খবরে ঘূর্নিঝড় আম্পানে মোট মৃতের সংখ্যা ১৬
করোনা প্যান্ডেমিকের সময়ে ছুটি বা লকডাউনের কারনে স্বাভাবিকভাবেই অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, যোগাযোগ রুদ্ধ, থেমে আছে জীবিকা।
কঠিন এই সময়ে এরুপ তান্ডব সৃষ্টিকারী প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিশ্চিতভাবেই ঘূর্নিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে আরও অধিক অর্থনৈতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিয়েছে।
খেয়ে বাঁচাটাই এখন প্রধান লক্ষ্য, একইসাথে ঘূর্নিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর ভবিষ্যতের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি এবং আটকে পড়া কৃষি পণ্য ন্যায্য মূল্যে ক্রয় ও বিতরণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কৃষি সহায়তা নিশ্চিতকরনের কাজও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে ঘূর্নিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়ান।