ভরসাটুকুর নাম “পাশে আছি”

মোটিভেশন

খুব সুন্দর আকর্ষণীয় মেয়ে। সবাই পছন্দ করবে।

হ্যান্ডসাম ডেসিং টল ছেলে। আকর্ষন কুড়াবে।

তুখোড় স্টুডেন্ট। পরীক্ষায় প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হয়নি। আদর পাবে।

ভালো জব সিক্স ডিজিট স্যালারি। সর্বত্র কদর পাবে।

আর যে ছেলে বা মেয়েটি মোটেও আকর্ষণীয় না, হ্যান্ডসাম ডেসিং তর্জমা যার জানা নেই, যে ক্লাশের শেষ বেঞ্চে চুপচাপ বসে থাকে, গড়পড়তা টেনেটুনে রেজাল্ট, খুড়িয়ে চলা স্যালারি, ছাপোষা যার জীবন

সমাজ তার দিকে ফিরেও তাকাবে না। সে করুণার পাত্র , পথ চলতে প্রতিনিয়ত জুটে কুটুক্তি, বিদ্রুপমাখা হাসি।

এই বিদ্রুপ, করুণা কিংবা ‘আর আশা নেই ‘ উক্তিগুলো জীবনকে মাঝ পথে ব্রেক চেপে থামিয়ে দেয়। থেমে যাওয়া গাড়ি একসময় অকেজো হয়ে পড়ে।

ওরা তখন আবারও বিদ্রূপের হাসি হেসে বলে — “আগেই কইছিলাম, ওরে দিয়া আশা নাই। দেখলা তো , আমার কথাই ঠিক। হইল, মালডা বাতিল “

অথচ সমাজের চোখে সেই ছাপোষা বাতিল মালটিও কিন্তু একেবারে অকেজো হয়ে যাবার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার পাশে কাউকে আশা করে।

তার পাশে দুনিয়া শুদ্ধ সকলের দরকার নেই।

দরকার কাছের অল্প কিছু মানুষ যাদের সে বিশ্বাস করতে পারে।

সত্য কিংবা মিথ্যা যাই হোক খুড়িয়ে চলা জীবনের কাঁধে সেই কাছের মানুষটি যদি হাত রেখে বলতে পারে — তুমি একা নও, পাশে আছি, এগিয়ে যাও।

অতি সরল এই কয়েকটি শব্দ কতোটা অসাধারণ প্রভাব যে ফেলতে পারে সেই প্রায় থেমে যাওয়া মানুষটির জীবনে তা কল্পনারও অতীত।

“পাশে আছি” ভরসাটুকু জীবন পরিবর্তন করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।


রাফিউজ্জামান সিফাতের বইসমূহ

Leave a Reply

Your email address will not be published.